1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

তামিম, শান্তকে হারিয়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৬ বার পঠিত

সামাদ আহমেদ আবির : তাইজুল ইসলামের ফাইফারে দিশেহারা আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২১৪ রান করতেই। কিন্তু শেষ বিকেলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবালের উইকেট তুলে নিয়ে স্বস্তি ফিরে পায় আয়ারল্যান্ড শিবির। ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনও পিছিয়ে ১৮০ রানে, হাতে ৮ উইকেট।

জবাব দিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ইনজুরি কাটিয়ে তামিম ইকবাল ওপেনিংয়ে, তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ইনিংসের প্রথম ওভারেই মার্ক অ্যাডায়ারের বাজিমাত। বোল্ড, গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরে যান শান্ত।

এরপর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক বেশ দেখেশুনে দিনের খেলা শেষ করার পথে ছিলেন। কিন্তু দিনের শেষ বলে উইকেট হারান ২১ রান করা তামিম। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের লাফিয়ে উঠা বল বুঝতে না পেরে সেকেন্ড স্লিপে ক্যাচ তুলেন তামিম। হতাশ হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ৩৪/২। মুমিনুল হক অপরাজিত ১২ রানে।

টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আজও দেখালেন স্পিন ভেলকি। ২৮ ওভার বল করে মাত্র ৫৮ রান খরচায় দখলে নেন পাঁচ উইকেট। আর তাতেই যেন ৭৭.২ ওভারে শেষ আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ৪ স্লিপ ও এক ওয়াইড স্লিপ নিয়ে বোলিং শুরু করেন শরিফুল ইসলাম। শুরু থেকেই চলে দাপট দেখাতে থাকেন টাইগার পেসাররা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শুরুর বলেই আইরিশ ওপেনার মারে কমিন্সকে লেগ বিফোরের ফাঁদে পেলে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। কমিন্স ১০ বল খেলে করেন কেবল ৫।

আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককুলাম (১৫) থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এবাদত হোসেনের বাউন্সে আউটসাইড এজ হন। স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ লুফে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ২৯ রানে ২য় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১০ ওভারে দুই উইকেটের দেখা পেলেও ১৪ ওভারের মধ্যে তিন রিভিউর দুইটি খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

তাইজুল ইসলামের প্রথম শিকার আইরিশ অধিনায়ক বালবার্নি। নিখুঁত লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বালবার্নি (১৬), বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও। এরপর কুর্টিস ক্যাম্ফারকে নিয়ে লড়াই চালান হ্যারি টেক্টর। এই দুই ব্যাটার কাটিয়ে দেন প্রথম সেশনের বাকিটা সময়।

১ম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ২৬ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৫ রান। হ্যারি টেক্টর ১৮ ও কুর্টিস ক্যাম্ফার ৯ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে ২য় সেশনে ব্যাট করতে নামেন। ৩৫.৩ ওভারে দলীয় ১০০ পূর্ণ করে আয়ারল্যান্ড। এর আগে হেক্টর-ক্যাম্ফার জুটিতে আসে পঞ্চাশ রান।

হ্যারি টেক্টর ৮০ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। অভিষেক টেস্টেই টেক্টরের অনন্য এই কীর্তি। টেক্টর-ক্যাম্ফার জুটি জমে উঠছিল। চিন্তাও বাড়ছিল বাংলাদেশের। তখনই আঘাত মেহেদী হাসান মিরাজের। ইনসাইড এজ হয়ে ভাঙে স্টাম্প। ১৩৪ মিনিট ক্রিজে থাকার পর ব্যক্তিগত ৫০ রানে বিদায় নেন টেক্টর। ভাঙে ৭৪ রানের জুটি।

পরের ওভারেই তাইজুলের শিকার পিটার মুর। জিম্বাবুয়ের হয়ে আটটি টেস্ট খেলা পিটার মুরের এবার আইরিশ জার্সিতে অভিষেকটা সুখকর হয়নি। নামের পাশে ১ রান যোগ করতেই তামিমের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। সাবলীল গতিতে খেলতে থাকা ক্যাম্ফারকে খানিক পরেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল।

২ রানের ব্যবধানে টানা তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর দুই নতুন ব্যাটার লরকান টাকার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি। ২য় সেশন শেষে ৫৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে। টানা দুই সেশনে অধিনায়ক সাকিবকে দেখা যায়নি বল হাতে।

চা বিরতির পর আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ৫৯ তম ওভারের ২য় বল। তাইজুল ইসলামের বল উড়িয়ে মারেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। ডিপ মিড উইকেটে থাকা তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন বলটি তালুবন্দি করতে। তবে সেটা তো হয়ই নি, উলটো বিজ্ঞাপন কুশনের সাথে ধাক্কা খেয়ে চোট পান তিনি।

ক্যাচ নেবার চেষ্টায় বাম কনুইয়ে আঘাত পান তামিম ইকবাল। বাউন্ডারিতে বিজ্ঞাপন কুশনের পাশেই বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকেন তামিম। পরে দলের ফিজিও এসে তামিমকে মাঠের বাইরে (মেডিকেল রুম) নিয়ে যান। এরপর এবাদতের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৯ রানে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।

অবশেষে দিনের ৬৬ তম ওভারে বল হাতে আসলেন সাকিব আল হাসান। মার্ক অ্যাডায়ার এই ওভারে কোনো রান বের করার সুযোগই পাননি। দারুণ খেলতে থাকা লরকান টাকার তাইজুলের বলে হয়েছেন স্টাম্পড। তাইজুলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল এগিয়ে খেলতে এসে মিস করেন টাকার। লিটন দাসের দ্রুতগতির স্টাম্পিংয়ে ৩৭ রানে থামে টাকারের ইনিংস। দলীয় ১৯৯ রানে ৮ম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

মার্ক অ্যাডায়ারকে (৩২) ফিরিয়ে তাইজুল ইসলাম দখলে নেন পঞ্চম উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ফাই-ফার পূর্ণ করলেন তাইজুল। গ্রাহাম হিউমকে বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৭.২ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২১৪।

সাকিব আল হাসান কেবল ৩ ওভার বল করেছেন। তবে থাকেন উইকেট শূন্য। এছাড়া মিরাজ ও এবাদতের জোড়া শিকার। শরিফুলের ঝুলিতে যায় একটি। সর্বোচ্চ ২৮ ওভার বল করে ৫৮ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন ঘূর্ণিতেই বাংলাদেশ স্বস্তিতে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..